Sunday, December 29, 2024

৭টি টিপস মেনে চলুন ২০২৫ সালকে সাফল্যময় করতে



আমি ৭টি সহজ এবং কার্যকর পদক্ষেপ উল্লেখ করছি, যা আপনি ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে বাস্তবায়ন করতে পারেন:

১। পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারন করুন (প্রথম দিন থেকেই শুরু করুন)
২০২৫ সালে আপনি কী অর্জন করতে চান? ক্যারিয়ার, খ্যাতি এবং আর্থিক লক্ষ্য সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট হোন।
লক্ষ্য লিখুন: যেমন, আয়ের ১০% সঞ্চয় করুন, বা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন।
লক্ষ্যকে ছোট ছোট খন্ডে ভাগ করে নিন: আপনার পুরো বছরের লক্ষ্য ছোট ছোট ধাপে ভাগ করে নিন।

২। আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডকে উন্নত করুন আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড মানে অন্যরা আপনাকে পেশাগতভাবে কীভাবে দেখে। এখন থেকেই আপনার ব্র্যান্ড এমনভাবে গড়ে তুলুন, যা আপনার ক্যারিয়ারের লক্ষ্যগুলোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সক্রিয় নেটওয়ার্কিং করুন: ইন্ডাস্ট্রি-সম্পর্কিত গ্রুপে যোগ দিন বা ইভেন্টে অংশ নিন (ভার্চুয়াল হলেও)।
“আপনার খ্যাতি হলো আপনার ক্যারিয়ারের মুদ্রা—এটিকে যথাযথভাবে বিনিয়োগ করুন।”

৩। চাহিদাসম্পন্ন একটি দক্ষতা শিখুন
জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত আপনার ইন্ডাস্ট্রিতে বা যে বিষয়ে আপনার বেশী আগ্রহ, এমন একটি চাহিদাসম্পন্ন নতুন দক্ষতা যোগ করার জন্য এটিই সেরা সময়।দক্ষতা নির্ধারণ করুন: এটি হতে পারে ডাটা অ্যানালাইসিস, পাবলিক স্পিকিং, বা অ্যাডভান্সড এক্সেল।

অনলাইন কোর্স করুন; কোর্সেরা Coursera), উদেমি (Udemy), Goedu.ac বা লিংকডইন লার্নিং-এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত শিখতে পারেন।

প্র্যাকটিস শুরু করুন; ৯০ দিনের মধ্যে শিখে তা আপনার কাজ বা সাইড প্রজেক্টে প্রয়োগ করুন।

৪। আয়ের নতুন উৎস তৈরি করুন
আপনার আয় বাড়াতে হলে চাকরির পাশাপাশি কোন আরেকটি সাইড ইনকাম বা প্যাসিভ আয়ের অপশনগুলো অনুসন্ধান করুন।

ফ্রিল্যান্স করুন; আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার দক্ষতা অফার করুন।
“আয়ের বৈচিত্র্য শুধু স্মার্ট নয়—এটি আর্থিক নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয়।”

৫। ব্যয় ট্র্যাক করুন এবং সঞ্চয় শুরু করুন
আপনার আর্থিক উন্নয়ন নির্ভর করে আপনি কীভাবে অর্থ পরিচালনা করছেন তার উপর। এই তিন মাসে আপনার ফিনান্স ঠিক করতে কাজ শুরু করুন।
একটি বাজেট তৈরি করুন; আপনার মাসিক আয় এবং ব্যয়ের তালিকা করুন।
অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান; এমন জিনিসে খরচ সীমিত করুন, যা খুব একটা মূল্য যোগ করে না।
স্বয়ংক্রিয় সঞ্চয় শুরু করুন; আয়ের একটি নির্দিষ্ট অংশ প্রতি মাসে সঞ্চয়ে রাখুন।
“কত উপার্জন করেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কতটুকু রাখতে পারেন তা গুরুত্বপূর্ণ।”

৬। একজন মেন্টর বা অ্যাকাউন্টেবিলিটি পার্টনার খুঁজুন
কেউ আপনাকে গাইড করলে বা আপনার কার্যক্রমের দায়িত্ব নিলে, আপনার ক্যারিয়ার দ্রুত এগিয়ে যায়।
মেন্টর খুঁজুন: আপনার ক্ষেত্রে যাকে আপনি অনুকরণ করেন, তার কাছে পরামর্শ চান।
অ্যাকাউন্টেবিলিটি তৈরি করুন; সহকর্মী বা বন্ধুর সাথে একে অপরের অগ্রগতি নিয়মিত চেক করুন।
একটি গ্রুপে যোগ দিন; একই লক্ষ্য থাকা একটি গ্রুপে যোগ দিন।
“যখন কেউ আপনাকে গাইড করে বা উৎসাহ দেয়, তখন সফল হওয়া সহজ হয়।”

৭। প্রতি মাসে পর্যালোচনা এবং সমন্বয় করুন
প্রতি মাসের শেষে কিছু সময় নিয়ে আপনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন।
জয় উদযাপন করুন; ছোট হলেও আপনার অর্জনগুলোকে আপনি নিজেই স্বীকৃতি দিন।

Saturday, July 2, 2022

ইন্টারভিউ দেওয়ার পরে করণীয়



১। ইন্টারভিউ যখন শেষ, তখন আপনাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনার কি আমাদের কাছে কিছু জানার আছে? অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা উত্তর দেই, না। এটা আমাদের একটা কমন ভুল। “না” উত্তরটি দেয়ার সাথে সাথে আপনি কিন্তু পরবর্তী যোগাযোগের সকল রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছেন। আপনি রিক্রুইটারের কাছে জানতে চাইতে পারেন, কোম্পানির বেতন, পলিসি, সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে।


২। এরপর হাসিমুখে বলতে পারেন, “তাহলে স্যার কবে থেকে জয়েন করতে হবে?” ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে অন্যরকম মনোভাব তৈরি হবে, আপনার ভিন্ন রকম এই অ্যাপ্রোচে। তবে, এরকম স্মার্ট অ্যাপ্রোচে যাওয়ার আগে ইন্টাভিউয়ারের মানুসিকতা বুঝতে চেষ্টা করুন। এছাড়া আপনি কবে নাগাত ফলাফল জানা যাবে সেটা জিজ্ঞেস করতে পারেন।

৩। “স্যার, আমি যে কোন কাজ করতে পারবো, আমার ব্যাপারটা একটু দেখবেন।” অথবা, “স্যার, আমি ফ্যামিলি নিয়ে খুব সমস্যায় আছি, চাকরীটা আমার খুব দরকার” এরকম কথা বলে শেষ করলে হবে না। নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না। অন্তত এভাবে বলুন, “আশা করি খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে আবার দেখা হবে” অথবা, “আশাকরি, আপনাদের সাথে অচিরেই মিলেমিশে কাজ করতে পারবো”

৪। ইন্টারভিউ শেষে যিনি ইন্টারভিউ নিলেন, তার একটা কার্ড চেয়ে নিন।

৫। কোন কারনে যদি বুঝতে পারেন যে এই চাকরীটি আপনার হচ্ছে না, তাহলে সুযোগ বুঝে ইন্টারভিউয়ারের ফিডব্যাক নিন। আপনার ভুলগুলো জেনে নিন। তারা আপনাকে আপনার ভুল নিজ থেকে জানিয়ে দিবে এমনটা আশা করবেন না। এটা তাদের কাজ না। আপনাকে ফারদার কল করেনি, তার মানে আপনার চেয়ে বেটার কাউকে পাওয়া গেছে।

৬। বাসায় পৌছে ইন্টারভিউয়ারকে “থ্যাংক ইউ” মেইল দিন। এই ধরনের মেইলগুলোতে কি লিখবেন? আপনি এভাবে লিখতে পারেন, “আমি আপনাদের কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত (ইন্টারভিউ ডেট ও কোন পোস্টের জন্যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেটা উল্লেক করুন)। ইন্টারভিউ থেকে আপনি কি কি শিখেছেন এরকম দুইটি পয়েন্ট উল্লেখ করুন। এরপর নিজের সবল দিকগুলো দিয়ে কিভাবে আপনি কোম্পানির উন্নতি করতে পারবেন ২-৩টি বাক্য লিখুন। শেষে গিয়ে পুনরায় কল পাওয়া বা সিলেক্টেড হওয়ার আশাবাদ জানিয়ে মেইল শেষ করুন।” মোট ৪ প্যারায় ৭-৮টি বাক্য লিখবেন।

৭। সামাজিক কোন গনমাধ্যমে ইন্টারভিউ খারাপ হলে কোন বাজে কমেন্ট করবেন না। এতে করে আপনার সাথে যারা পরিচিত, তারা আপনাকে আর রেফার করবে না। ধরুন, আপনি এসিআইতে ভাইভা দিয়েছেন। ভালো হয়নি, যাচ্ছে তাই লিখে পোস্ট দিলেন। আপনার ফেসবুকেই রয়েছে স্কয়ারের কেউ একজন। সে কি আপনাকে আর জীবনেও রেফার করবে? ভেবে দেখুন, গীবত বাজে জিনিস। নিজের ভাইয়ের গোস্ত খাওয়ার সামিল, মনে রাখবেন।

৮। ইন্টারভিউ দেওয়ার পর আমরা আর ফলোআপ করি না, এটা আমাদের মস্ত বড় ভুল। ফলো আপই যদি না করবেন, তাহলে গিয়েছিলেন কেন?

৯। বার বার ফোন দিয়ে রিক্রুইটারকে বিরক্ত করবেন না। এক সপ্তাহ পরে, থ্যাংক ইউ মেইলের নিচে, একটি ফলো আপ মেইল ড্রপ করতে পারেন। একটি মেসেজ দিতে পারেন।

১০। ইন্টারভিউ যারা দিতে গিয়েছে, তাদের সাথে পরিচিত হোন, তাদের কার্ড নিন, নম্বর নিন। নিজের সম্পর্কে তাদের জানান। তাদের মাধ্যমে আপডেট জানতে পারবেন। তাদের মাধ্যমে নতুন সুযোগও তৈরি হতে পারে।

রুমে ঢোকার সময়ের ইম্প্রেসান ও বের হবার সময় ইম্প্রেসান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসিমুখে বের হন। আপনার হাসিমুখ ও স্কিলের এমন একটা ইমেজ ইন্টারভিউ রুমে দিয়ে আসুন, আপনাকে যেন তারা নিতে বাধ্য হয়।

Saturday, June 18, 2022

হঠাৎ চাকরি চলে গেলে কি করবেন?

 


প্রাইভেট কোম্পানির চাকরি যে কোনো সময় চলে যেতে পারে। হুট করে চাকরি চলে গেলে কি করবেন?

আর আগে থেকেই আমাদের কি করা উচিৎ?

১। ইমার্জেন্সি ফান্ড রেডি রাখুন। অন্তত ৩ মাসের বেতনের টাকা জমিয়ে রাখুন। যাতে নতুন চাকরি খুঁজতে কিছুটা সময় পাওয়া যায়।

২। সব কাগজপত্র এক ফাইলে রাখুন। নতুন নিয়োগের সময় আগের চাকরির কাগজপত্র দেখতে চাইতে পারে। তাই সেসব যেন আপনার কাছে প্রস্তুত থাকে।

৩। সিভি/রিজুমি আপডেট রাখুন। হার্ড কপি/সফট কপি - দুটোই।

৪। কোম্পানির স্বাস্থ্যবীমা ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যবীমা করে রাখুন। তা না হলে চাকরি চলে যাওয়ার পর পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য খরচ করতে অসুবিধা হবে।

৫। চাকরির বাজারে চোখ-কান খোলা রাখুন। নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখতে থাকুন।

৬। চাকরি চলে গেলে কোম্পানি থেকে প্রাপ্য টাকা-পয়সা সব বুঝে নেবেন। অনেক কোম্পানি এ সময়ে সব টাকা পরিশোধ করতে না-ও চাইতে পারে।

৭। বাড়িতে অবসর সময়টা বসে না থেকে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের সফট স্কিল ট্রেনিং নিতে পারেন। যাতে নতুন চাকরির বাজারে আপনার গুরুত্ব একটু বাড়ে।

৮। যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন। ই-মেইল, লিঙ্কড ইন, ফেসবুক, টুইটারসহ সব সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন। প্রতিদিনই এসব মাধ্যমে কিছু সময় দিন। যেই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চান তাদের সঙ্গে নিজের কথাগুলো বলুন আর সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করুন। কেবল তারা কী করছে সেটা জানতে নয়, অন্তত আপনি কী করছেন সেটা তাদেরকে জানাতে হলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

৯| অনলাইনে ফ্রিলান্সিং বিভিন্ন কাজ করতে পারেন স্কিল অনুযায়ী ।

১০। পরিচিত দের কে নক করে রাখবেন।

১১। লিংকডইন প্রোফাইল আপডেট রাখবেন এবং নিয়মিত সময় দিবেন।

১২। চাকরি থাকলে যে ভাবে আপনি ডিউটি করতেন ৯-৫টা, এখানেও ঠিক ঐভাবেই সময় দিবেন। চাকরি খোঁজাকেও একটা চাকরি মনে করবেন।

১৩। পরিবারের কারো সাথে খারাপ আচরন করবেন না। পরিবার কে সময় দিবেন।আপনার খারাপ দিনে তারাই একমাত্র আপনাকে অনুপ্রেরণা দিতে সক্ষম।

১৪। নিজের উপর বিশ্বাস হারানো যাবে না। আপনার দক্ষতা পরিশ্রম আপনাকে তার থেকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

১৫। নিজের ফোনে রিজিউমে রাখবেন। যাতে করে কারো মেসেঞ্জারে বা ওয়ার্টস এ্যাপে দিতে পারেন, কারণ অনেকে মেসেঞ্জারে আপনার রিজিউমে দেখতে চায়। তাই চাওয়া মাত্র যাতে আপনি দিতে পারেন।

১৬। বিশ্বাস রাখবেন রিজিকের ব্যবস্থা মহান আল্লাহ তায়ালা করে রাখছেন।

Sunday, January 23, 2022

চাকুরী জীবনের প্রথমে করা ভুলগুলো

 


প্রায় প্রত্যেকটা ছেলে বা মেয়ে চাকুরী জীবনের শুরুতে কিছু না কিছু ভুল করে এবং চাকুরী জীবনে তা খুব মারাত্মক প্রভাব ফেলে।


১। কাজ না শেখার প্রবনতাঃ আপনি অনেক ছেলে বা মেয়েকে পাবেন আপনার অফিসে,যাদেরকে কাজ দিলেই তার মাঝে এক প্রকার অনিহা দেখবেন কাজ না করার। একটা কথা মনে রাখা জরুরী কাজ যত ছোটই হোক না কেন, তা থেকে কিছু না কিছু শেখার আছে।

ক. ফাইল গুছিয়ে রাখা।
খ. ফাইল নাম্বার দিয়ে সাজিয়ে রাখা।
গ. ফটোকপি করা।
ঘ. নোট নেয়া বা ছোট ছোট চিঠি লেখা ইত্যাদি।

সব ধরনের কাজ শেখা, আপনি ছোট কাজ না জানলে বড় কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না বা অন্যদের ফাঁকিবাজি আপনার চোখে কম পরবে।

২। দ্রুত পদন্নোতি পাওয়ার চেষ্টাঃ পদন্নোতি পেতে সবাই ভালবাসে আর সেটা যদি হয় খুব দ্রুত মন্দ না। কেউ কেউ চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে পদন্নোতি পাওয়ার নানাভাবে বড় কর্তাদের খুশি করতে চেষ্টা করেন। একটা কথা মনে রাখা ভাল আপনি সারাজীবন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন না, তাই কম যোগ্যতা নিয়ে বড় কর্তাকে খুশি করে দুই বা একবার পদন্নোতি পতে পারেন কিন্তু আপনার যোগ্যতা থাকার পরও যদি আপনি পদন্নোতি না পান, তবে হতাশ হবেন না কারন আপনার কাজের মূল্যায়ন আপনি ১০০% পাবে। শুধু মনে রাখুন আপনার ঘাম এবং পরিশ্রম আপনার সাথে বেইমানী করবে না।

৩। অতিরিক্ত কাজ না করার চেষ্টাঃ সফল মানুষগুলো অন্য যেকোন মানুষের চেয়ে দ্বিগুণ পরিশ্রমী। দেখবেন সবার শেষে আপনার বিভাগের প্রধান বাসায় যায় কারণ কি? এটাই মনে রাখেন, তার কাজের জন্যই সে আজকে বিভাগের প্রধান। চাকুরী জীবনের প্রথমে ৯-৫ টা অফিসের চিন্তা করলে মোটামুটি মধ্যম মানের কর্মীদের তালিকায়ই থেকে যাবেন।

৪। অফিসের রাজনীতিতে নাম লেখানঃ সরকারী বা বেসরকারী সব ধরনের অফিসেই অফিস রাজনীতি থাকে এখানে নানান বিভাগে নানা পীর সাহেবরা থাকে।এই রাজনৈতিক দলগুলো নানান ভাবে গড়ে ওঠে যেমনঃ

ক। "Smokers are always good friends" বিড়ি বাহিনী।
খ। বিভাগের প্রধানের বাহিনী।
গ। বিশ্ববিদ্যালয় বাহিনী।
ঘ। অঞ্চল ভিত্তিক বাহিনী বা মালিকের বাহিনী ইত্যাদি।

এই ধরনের বাহিনীতে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকুন কারন এরা গুজব ছড়ান প্রজাতির লোক। কাজ করার চেয়ে অকাজ বেশি করে বেড়ায় এরা।

৫। কেউকে অনুসরণ না করাঃ অফিসে একজন পীর বানাবেন যার সব কাজগুলো অনুসরণ করবেন। সুযোগ হলে তার জীবনের সফলতার গল্প শুনবে এবং অফিসের ফাকে তার সাথে সময় কাটাবেন। তার গল্পটার মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ন বিষয় পাবেন যা খুব কাজে দিবে। যাকে অনুসরণ করবেন সে প্রায়ই আপনাকে এড়িয়ে যেতে চাইবে কিন্তু লেগে থাকতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না, তাকে চোখে চোখে রাখবেন সে কি করে, কিভাবে করে ইত্যাদি।

Sunday, October 17, 2021

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা


 ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করবেন যেভাবেঃ

সফল ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনার প্রয়োজন ভালো একটি পরিকল্পনা। ক্যারিয়ার পরিকল্পনা করার ক্ষেত্রে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন। তাহলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবার সময় নিজের কাছে স্পষ্ট থাকতে পারবেন।
ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কী?

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা বা প্ল্যানিং হলো আপনার ক্যারিয়ার সম্পর্কিত বাস্তবসম্মত একটি কৌশল। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকেঃ

১। আপনার পছন্দ বা আগ্রহের কাজ বিষয়ক তথ্য।
২।আপনার বর্তমান দক্ষতা, জ্ঞান ও কাজের অভিজ্ঞতা।
৩।লক্ষ্য অর্জনে আপনার করণীয় কাজ সময়ের সাথে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে স্কুল-কলেজে পড়া শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা এখনো সীমিত। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য কিছুটা হলেও স্বাধীনতা পাওয়া যায়।

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা কীভাবে করবেন?

আপনার পরিকল্পনা তৈরি করার সময় নিজেকে এ প্রশ্নগুলো করুন- ক্যারিয়ার বাছাই ও ব্যক্তিগত আগ্রহঃ

i.আপনি কোন ধরনের ক্যারিয়ার চান, তা ঠিক করেছেন কি? =উত্তর না হলে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। ক্যারিয়ার ঠিক করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। 
ii.আপনার ঠিক করা ক্যারিয়ার ব্যক্তিগত আগ্রহের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি? =উত্তর হওয়া উচিত “হ্যাঁ। বাছাই করা ক্যারিয়ারে যদি এমন কোন কাজ করতে হয় যা আপনি পছন্দ করেন না, তাহলে সে ক্যারিয়ারে ভালো করা আপনার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। যেমন, বেশি মানুষের সাথে কথা বলতে ভালো না লাগলে কাস্টমার সার্ভিসের কাজ ঠিক করা অনুচিত হবে আপনার।
iii.ক্যারিয়ার বাছাই করার জন্য কারো পরামর্শ নিচ্ছেন কি? =উত্তর হ্যাঁ হলে, পরামর্শের মান নিয়ে চিন্তা করুন। প্রয়োজনে মেন্টরের সাহায্য নিন।

দক্ষতা ও জ্ঞানঃ

১।বাছাই করা ক্যারিয়ারের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা আপনার আছে কি?=উত্তর হ্যাঁ হলে, দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান।=উত্তর না হলে, প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার একটি তালিকা তৈরি করুন।
২।প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা কীভাবে অর্জন করছেন বা করবেন?=কোথায় ও কীভাবে আপনার বর্তমান দক্ষতাগুলো অর্জন করেছেন, তার মূল্যায়ন করুন।=যেসব দক্ষতা আপনার নেই,সেগুলো কীভাবে অর্জন করতে পারবেন, সে সম্পর্কে খোঁজ নিন।

কাজের অভিজ্ঞতাঃ

১।বাছাই করা ক্যারিয়ারের সাথে সম্পর্কিত কাজের অভিজ্ঞতা আছে কি?=উত্তর হ্যাঁ হলে, নিজের সিভিতে সঠিকভাবে তার উল্লেখ করুন।=উত্তর না হলে,কীভাবে সে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন, তা অনুসন্ধান করুন। এর জন্য চাকরি খোঁজার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। অথবা পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ খুঁজুন। সম্ভব হলে ইন্টার্নশিপ করুন।

সিভি ও প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টঃ

১।যে ক্যারিয়ারে যেতে চাইছেন, সে ক্যারিয়ারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সিভি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আছে কি?=উত্তর হ্যাঁ হলে, নিজের সিভি রিভিউ করুন।=উত্তর না হলে, সময় নিয়ে সিভি, কভার লেটার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করুন।

ইন্টারভিউঃ

১।বাছাই করা ক্যারিয়ারে কোন ধরনের ইন্টারভিউ হয় সে ব্যাপারে জানা আছে কি? =উত্তর না হলে খোঁজখবর নিন। =উত্তর হ্যাঁ হলে ইন্টারভিউ ও অন্য পরীক্ষা নিয়ে আরো বেশি জানার চেষ্টা করুন।
২।ইন্টারভিউ দেবার ক্ষেত্রে আপনি কতটুকু দক্ষ? =এ প্রশ্নের ভিত্তিতে নিজেকে মূল্যায়ন করুন। =যেকোন চাকরির ইন্টারভিউর সাধারণ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। =ইন্টারভিউ তে সাধারণ কিছু ভুল এড়িয়ে যাবার উপায় নিয়ে জানুন।

আপনার ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় উপরের প্রশ্নগুলো বিবেচনা করলে পুরো প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যাবে। ধৈর্য সহকারে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করলে আপনিও পছন্দের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

৭টি টিপস মেনে চলুন ২০২৫ সালকে সাফল্যময় করতে

আমি ৭টি সহজ এবং কার্যকর পদক্ষেপ উল্লেখ করছি, যা আপনি ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে বাস্তবায়ন করতে পারেন: ১। পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারন করুন (প্রথ...